প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ নতুন দিল্লিতে আয়ুষ ক্ষেত্রের কাজকর্ম খতিয়ে দেখতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবার প্রসার, ঔষধি গাছ চাষের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতি এবং চিরাচরিত ওষুধে নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসেবে আয়ুষ ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ওপর জোর দেন। তিনি বিশ্বব্যাপী এর ক্রমবর্ধমান গ্রহণযোগ্যতা এবং দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে আয়ুষ ক্ষেত্রের তাৎপর্য তুলে ধরেন। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে এই ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করে তুলতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি যোগ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার জন্য সামগ্রিক এবং সুসংহত স্বাস্থ্য ও আদর্শ প্রোটোকল প্রচারের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী বিশেষ জোর দিয়ে বলেন যে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের অভ্যন্তরে সমস্ত কাজকর্মের মূল ভিত্তি হিসেবে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। তিনি সকল পক্ষকে সততার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার নির্দেশ দেন, যাতে তাদের কাজ কেবলমাত্র আইনের শাসন এবং জনকল্যাণের জন্য পরিচালিত হয় । আয়ুষ ক্ষেত্রের উৎপাদন বাজার ২০১৪ সালে ২.৮৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে ২৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। আয়ুষ রিসার্চ পোর্টাল এখন ৪৩ হাজারেরও বেশি গবেষণার আয়োজন করছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব ডঃ পি কে মিশ্র এবং অন্যান্য পদস্থ আধিকারিকরা।