আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের তত্বকে সিবিআই কখনো মান্যতা দিয়েছে কিনা, কলকাতা হাইকোর্ট তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক উচ্চ আদালতে আজ আরজি কর মামলার শুনানির সময় সিবিআইকে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের একগুচ্ছ প্রশ্নবাণের সম্মুখীন হতে হয়। কতদূর তদন্ত এগিয়েছে, এই মুহূর্তে তদন্তকারীরা কী করছেন, কোন কোন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিই একমাত্র অভিযুক্ত কিনা এধরনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর সম্বলিত কেস ডায়েরি আগামী ২৮শে মার্চ জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে মৃতার পরিবারের পক্ষে আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানান। সিবিআইয়ের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার জানান, এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক কলকাতার বাইরে থাকায় এই সংক্রান্ত রিপোর্ট দিতে সময় লাগবে। রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা হাইকোর্টে এই আবেদন করার আদৌ আইনসঙ্গত অধিকার আছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে প্রশ্ন তোলেন। শুনানির পর আদালত চত্বরে নির্যাতিতার মা সাংবাদিকদের বলেন, এতদিনে কিছুটা আশার আলো তারা দেখতে পাচ্ছেন।
এদিকে, আর জি কর-এর ঘটনায় প্রকৃত ন্যায় বিচার না হলে রাজ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি ও জাল ওষুধের কারবার বন্ধ করা যাবে না বলে সার্ভিস ডক্টর ফোরাম সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার সজল বিশ্বাস দাবি করেছেন।
উল্লেখ্য, আর জি কর-এর ঘটনায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের দাবিতে ডাক্তার ও নার্সদের সংগঠন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম ও নার্সেস ইউনিটির পক্ষ থেকে আজ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান করা হয়।
অন্যদিকে, পুলিশ ওই অভিযান বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এই নিয়ে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।