RG KAR-এ তরুণী PGT চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় একমাত্র ধৃত সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদা আদালত, আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছে। গত শনিবারই আদলত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে। গতকাল সঞ্জয়ের বক্তব্য শোনার পর বিচারক অনির্বাণ দাস, তার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণার পাশাপাশি, আর্থিক সহায়তা বাবদ ১৭ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার মা-বাবার হাতে তুলে দেবার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেন ।
এদিকে, রায় ঘোষণা হলেও, এখনি শিয়ালদা আদলতে মামলা শেষ হচ্ছে না। ওই আদালতেই চলবে শুনানি। এই মামলার তদন্তে তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে RG KAR-এর তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে সিবিআই। যদিও সেই মামলায় চার্জশিট জমা দিতে না-পারায় দু’জনেরই জামিন মঞ্জুর হয়। তবে আদালতে CBI জানিয়েছে,খুব তাড়াতাড়িই ওই মামলায় চার্জশিট দেবে তারা । সেটির ভিত্তিতে আবারও শুনানি হবে বলে মনে করা যাচ্ছে।
এদিকে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার হাইকোর্টে যাচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানারজি গতকাল নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এ কথা জানিয়ে বলেন, আদালত নৃশংস এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে চিহ্নিত না করায় তিনি বিস্মিত। রাজ্য সরকার মনে করে এটি একটি বিরলতম অপরাধ এবং সেজন্য দোষী সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
আদালতের গতকালের রায় নিয়ে নির্যাতিতার পরিবারও হতাশা ব্যক্ত করেছে। আর্থিক ক্ষতিপূরণের বিষয়টি নিয়েও আদালতে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। তাঁদের আইনজীবি জানিয়েছেন, তাঁদের দাবী ছিল সর্বোচ্চ শাস্তি। তা’ না হওয়ায় এখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটের দিকে তাকিয়ে আছেন তাঁরা।
অন্যান্য মহলেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
বিজেপি’ জানিয়েছে, তারা আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নয়। তবে, তথ্য প্রমাণ লোপাট করার জন্য রাজ্য সরকার ও পুলিশের বিরাট ভূমিকা ছিল বলে দলের রাজ্য সভাপতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আবারো অভিযোগ করেন।
RG KAR-এর ঘটনায় প্রকৃত বিচারের জন্য মানুষকে আরো সংগঠিত হতে হবে বলে CPIM রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম মন্তব্য করেছেন। তদন্তের গতি প্রকৃতি নিয়ে তিনিও ফের একবার প্রশ্ন তুলেছেন।
অন্যদিকে কংগ্রেস ন্যায় বিচারের দাবীতে গতকাল পথে নেমে বিক্ষভ দেখায়। এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় ছাড়াও আরো অনেকে যুক্ত আছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার মন্তব্য করেন। সংগঠিত অপরাধের দিকেও ইঙ্গিত করেন তিনি।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারী জুনিয়ার চিকিৎসকরাও তদন্তের ফাঁক ফোকর নিয়ে উচ্চতর আদালতে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।