স্বাস্থ্যভবনের সামনে জুনিয়ার চিকিত্সকদের অবস্থান স্থলে হামলার ছক কষার অভিযোগে ধৃত DYFI নেতা কলতান দাশগুপ্ত এবং সঞ্জীব দাসকে আজ বিধানগর আদালতে তোলা হয়েছে।
হামলার ছকের অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পরই এই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। তদন্তে নেমে গতকাল হালতু থেকে সঞ্জীব দাস ওরফে বুবলাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই বাম যুবনেতা কলতানের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশের দাবী। এরপর আজ ভোরে লালবাজারের অদূরে ফিয়ার্স লেনে বাম কর্মী সমর্থকদের অবস্থান স্থল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে টালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে কলতান এবং আরো এক CPIM নেতা সংগ্রাম চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সংগ্রামকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, কলতানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ এই অডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে আনেন।
কলতানের গ্রেপ্তারের পরই বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অনীশ সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ভাইরাল ওই অডিও-র টেকনিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। এর সত্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই বলে তাঁর দাবি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, কলতানের দাবী, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছে। আসল আন্দোলন থেকে নজর ঘোরাতেই এই পদক্ষেপ বলে তাঁর দাবী।
অন্যদিকে, CPIM-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী’ও, এই গ্রেপ্তারিকে গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন। গলার স্বর ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা AI-এর মাধ্যমে করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
জুনিয়ার ডাক্তারদের ধর্নায় অন্তর্ঘাতমূলক হামলার চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলেই CPIM নেতৃত্বের এতো রাগ বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন।