সুপ্রিম কোর্ট, আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানির সময় রাজ্যের তরফে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল অবস্থার কথা তুলে ধরেন। এর প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে বদলি সহ কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা যদি এই সময়সীমার মধ্যে কাজে না ফেরেন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেবে। পাশাপাশি চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশ ও প্রশাসনকে। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে তাঁদের তরফে আইনজীবী উদ্বেগ প্রকাশ করলে, প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদেরও, জেলা হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
শুনানীর শুরু হওয়ার পরই সিবিআই-এর পেশ করা স্টেটাস রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখেন তিন বিচারপতি। এরপর আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানীর দিন সিবিআইকে নতুন করে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিনও জেনারেল ডায়েরি ও এফআইআর দাখিলের নির্দিষ্ট সময়, প্রমাণ সংগ্রহ সহ একাধিক বিষয়ে অসংগতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এবং অন্যান্য আইনজীবী। দেহের সুরতহাল সংক্রান্ত যে চালান ময়নাতদন্তকারীর হাতে আগে তুলে দেওয়ার কথা, সেটি রাজ্যের পেশ করা নথির মধ্যে নেই বলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চকে জানানো হলে কপিল সিবাল স্বীকার করেন, নথিটি এই মুহূর্তে তাঁর কাছে নেই। তিনি সেটি জোগাড় করে পেশ করবেন। যদিও কলকাতা হাইকোর্টে সেই নথি পেশ করা হয়েছিল বলে জানানো হয়।
জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে সাধারণ রোগীদের দুর্ভোগ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি, কলকাতায় এবং রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা জানতে চান। রাজ্যের তরফে সেই তথ্য জানাতে পারেননি আইনজীবীরা।