লোকসভায় আজ আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব বলেন, বর্তমান সরকারের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এবং সেটাই বিরোধী I-N-D-I-A জোটের জয়। ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্বেও এখানে মাথাপিছু আয় এখনো এতো কম কেন, সেই প্রশ্ন’ও তোলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি বেছে বেছে বিরোধী নেতাদের নিশানা করছে। গত ১০ বছরে দেশের যুক্তিরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানা হয়েছে বলেও তাঁর দাবী। কংগ্রেসের K C বেণুগোপাল সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে বিরোধীদের নৈতিক জয় বলে দাবী করেন। শিরোমণি আকালি দলের হরসিমরত কর বাদল, কৃষকদের সমস্যার অবলম্বে সমাধানের দাবী জানান। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ’-এর আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, বেকারত্ব এবং আইন সভাগুলিতে মুসলিমদের কম প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি উত্থাপন করেন। অসমে সাম্প্রতিক বন্যার ঘটনা তুলে ধরে কংগ্রেসের গৌরব গগৈ সেখানে অবিলম্বে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের জন্য কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর আর্জি জানান। ‘আজাদ সমাজ’ পার্টির চন্দ্রশেখর জাতপাতভিত্তিক জনগণনার দাবী জানিয়ে বলেন, এর ফলে গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত হবে।
জবাবে, বিজেপির সন্তোষ পান্ডে হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে গতকাল সভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য সম্পর্কে আপত্তি তোলেন। পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তিনি তাঁর ভাষণে তুলে ধরেন। এদিকে, সৌমিত্র খাঁ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচারের প্রসঙ্গের অবতারণা করেন এবং রাজ্যে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেন। এই নিয়ে সরকার পক্ষের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের উত্তপ্ত বাদানুবাদ শুরু হয়। এরই মধ্যে বিজেপির অজয় ভাট কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মানুষকে অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বলেন যে তারা সংবিধানের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করছে।