সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে আজও উত্তাল বাংলাদেশ। সংরক্ষণের দাবীকে আরো জোরদার করতে এবং আন্দোলনরত পরুয়া যারা পুলিশি জুলুমের প্রতিবাদে কোটা সংস্কার আন্দোলন কমিটির ডাকে আজ সারা দেশে পূর্ণ হরতাল চলছে। হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা বাদে দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউন এর ডাক দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের আইন মন্ত্রী আনিসুল হক এবং শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ঢাকার মেট্রো রেল আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর থেকে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আজ সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কফিন মিছিল বার করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানো গ্যাস ছোঁড়ে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের কার্যালয় আন্দোলনকারীরা আজ আগুন লাগিয়ে দেন। ওই ঘটনায় 12 জন আহত হয়েছেন। বগুড়ায় আন্দোলন চলাকালীন পুলিশ তাদের বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে। প্রায় ৩৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ১৫ জন আন্দোলনকারীকে পুলিশ আটক করেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। নাইটেঙ্গেল মোড়েও দুই আন্দোলনকারী গুলিবিদ্ধ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মূল ফটকের সামনে আজ মহাসড়ক প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। সাভারে কমপ্লিট শাটডাউন এর মধ্যেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা পুলিশের দুটি কিয়স্কে ভাঙচুর চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় ইট পাটকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস রবার বুলেট নিক্ষেপ করে। কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এই সংঘর্ষ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। ধানমন্ডীতেও একজন আন্দোলকারী মারা গেছে বলে জানা যাচ্ছে।