রাজ্যপাল ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস সংশোধিত ওয়াকফ আইন বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের হিংসাদীর্ণ সামশরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা আজ পরিদর্শন করছেন। প্রথমেই তিনি জাফরাবাদে হিংসার শিকার, নিহত বাবা ও ছেলে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাসের বাড়িতে যান। তাঁর কাছে সাহায্যের আর্তি জানান মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে গেলে তাদের আক্রমণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান। রাজ্যপালের সঙ্গী রাজভবনের কর্মীরা আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করেছেন।
এরপর রাজ্যপাল গ্রামের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন। রাজ্যপালের পথ আগলে গ্রামের বাসিন্দারা বিএসএফ-এর স্থায়ী ক্যাম্প তৈরির দাবি জানান।
এদিকে, জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া কিশোর রাহাতকারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল আজ সকালে সামশেরগঞ্জের রতনপুর এবং পরে বেতবোনা গ্রামে যান। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। গ্রামের মহিলা সহ অন্যান্যরা কমিশনের সদস্যদের দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। স্থানীয়ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর স্থায়ী ক্যাম্প নির্মাণের অনুরোধ জানান তাঁরা। তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শোনার পর পাশে থাকার আশ্বাস দেন চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার সহ অন্য সদস্যরা।