মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতীদের চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগে রাজ্য সরকার, ঐ হাসপাতালের এমএসভিপি জয়ন্ত রাউত সহ ১২ জনকে সাসপেন্ড করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী আজ নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান। সাসপেন্ড হওয়া অন্যদের মধ্যে আছেন, প্রসূতী বিভাগের প্রধান মহম্মদ আলাউদ্দীন, ঐ বিভাগেরই দুই সিনিয়র চিকিত্সক – ডক্টর দিলীপ কুমার পাল ও হিমাদ্রী নায়েক, দায়িত্বপ্রাপ্ত আরএমও সৌমেন দাস, অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের আরএমও পল্লবী ব্যানার্জী, ৫ পিজিটি চিকিত্সক এবং একজন ইন্টার্ন।
এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এটিকে ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসাবে অভিহিত করেন। সিনিয়াররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন নি বলেও তাঁর দাবি। ঐ প্রসূতী মৃত্যুর ঘটনায় চিকিত্সায় গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান। স্বাস্থ্য দপ্তর গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটি এবং সিআইডি তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে এই গাফিলতির দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। অস্ত্রোপচারের সময় যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিডিওর মানতে হয়, তা মানা হয়নি বলে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের এফআইএর-এর ভিত্তিতে সিআইডি ফৌজদারি মামলা শুরু করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী আজ উল্লেখ করেন।
একইসঙ্গে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারের দরজা পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোরও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহত প্রসূতীর পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং প্রয়োজনে চাকরী দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন তিনি।