মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, একটানা প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেখানকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী গতকাল নবান্নে ৮ জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসক এবং কৃষি, সেচ ও বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের আধিকারিক-সচিবদের নিয়ে এক বৈঠক করেন। তিনি বলেন, সিকিমে বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পর্যটকরা আটকে রয়েছেন। বর্ষায় পাহাড়ে ঘুরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে, পাহাড়ি এলাকায় ধস নামলে দ্রুত সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, রাজগঞ্জ, মাল, ক্রান্তি এবং জলপাইগুড়ি সদর ও পুর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। রাজ্য সরকারের তৈরি করা ৯ টি ফ্লাড সেন্টারে এই মুহূর্তে ৫০০ জনের মত দুর্গত রয়েছেন। জমা জলে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হওয়া থেকে সতর্কা থাকার জন্য তিনি অনুরোধ জানান। মুখখ্যমন্ত্রী বলেন, কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ও মাথাভাঙায় ১২ টি ত্রাণ শিবির ও ৬ টি কিচেন খোলা হয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে যোগাযোগ রেখে সকলকে সতর্ক থাকার কথা বলেন তিনি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথাও জানানো হয়।
অন্যদিকে বর্ষার মরশুমে ডিভিসি কতটা জল ছাড়বে, তা প্রতিদিন রিপোর্ট আকারে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে। রেলের এলাকায় জমে থাকা জল তাদেরকেই বের করতে হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
এদিকে উত্তরবঙ্গে আজও ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।