মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার জমে উঠেছে।
মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও লোকসভার বিরোধীদল নেতা রাহুল গান্ধী আজ নাগপুরে দীক্ষাভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহারাষ্ট্রে প্রচার শুরু করবেন। সন্ধে মহাবিকাশ আগাড়ী জোটের সমর্থনে মুম্বাইয়ের জনসভায় অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ৮ থেকে ১৪ নভেম্বর বেশ কয়েকটি জনসভায় ভাষণ দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে মহায়ুতি প্রার্থীর সমর্থনে গতকাল কোলাপুরে এক জনসভায় ভাষণ দেন।
উল্লেখ্য ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন ২০ নভেম্বর। ফল ঘোষণা ২৩ শে নভেম্বর।
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চলছে জোরকদমে। NDA এবং I.N.D.I.A দুই জোটের তারকা প্রচারকরা ভোটদাতাদের মন জয়ের সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। লোহারদাগাতে নির্বাচনী সভায় গতকাল ভাষণ দেওয়ার সময়, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ঝাড়খণ্ড রাজ্য বিজেপির শাসনামলে গঠিত হয়। এই অঞ্চলকে উন্নত রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলাই যার উদ্দেশ্য ছিল।
অন্যদিকে, হাজারীবাগের মান্ডুতে নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে অভিযোগ করেছেন, বিজেপিকে সমাজকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও রাজ্য জুড়ে একাধিক নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিয়েছেন। RJD, AJSU এবং বাম নেতৃবৃন্দ-ও বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য রাখেন।
নির্বাচন কমিশন ঝাড়খন্ডে বিধানসভা নির্বাচনে অসরকারী সংগঠন, স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোন কাজে থেকে বিরত রাখতে বলেছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, কমিশন সমস্ত জেলার নির্বাচনী আধিকারিককে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে ১৫১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের জন্য ৩১-টি এফ আই আর দায়ের করা হয়েছে।