ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ৪০ বছর পর , বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে বিপজ্জনক রাসায়নিক বর্জ্য অপসারণের কাজ গতরাতে শুরু হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এই কারখানায় ৩৭৭ টন বিপজ্জনক বর্জ্যপদার্থ জমা হয়ে আছে। ভোপাল থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে ধর জেলার পিথমপুর শিল্পতালুকে ১২ টি সিল করা আধারে এই বর্জ্যগুলি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের অধিকর্তা স্বতন্ত্র কুমার সিং জানিয়েছেন, এই বিপজ্জনক রাসায়নিক বর্জ্যগুলিকে পরিবহণের জন্য একটি গ্রীণ করিডর তৈরি করা হয়েছিল। গত রবিবার থেকে প্রায় একশো জন শ্রমিক বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থগুলি লরিতে তোলে। তিনি জানিয়েছেন, এই বর্জ্যগুলিকে পিথমপুরে বিশেষ ব্যবস্থায় পুড়িয়ে ফেলা হবে এবং পরে এর ছাইগুলি পরীক্ষা কোরে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ আছে কিনে দেখা হবে। ইনসিনারেটা বা পোড়ানোর জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র থেকে যাতে ধোঁয়া বেরিয়ে পরিবেশ দূষণ না করতে পারে তাঁর জন্য চারটি স্তরে ফিল্টার লাগানো থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালের, দোসরা এবং তেসরা ডিসেম্বর ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানা থেকে বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাস বেরিয়ে ৫ হাজার ৪ শো ৭৯ জন প্রাণ হারান ও বহু মানুষ পঙ্গু হয়ে যান। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও এই বিষাক্ত বর্জ্যগুলি না সরানোয় মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট কতৃপক্ষকে তিরস্কার করে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে এগুলি সরানোর নির্দেশ দেয়।