ভারত ও জার্মানি, যুদ্ধ বিধস্ত ইউক্রেনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। নতুন দিল্লীতে গতকাল সপ্তম ভারত জার্মান আন্তঃ সরকারী আলোচনার পর এক যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সেখানে সর্বাত্মক ও দীর্ঘ মেয়াদী শান্তি স্থাপনের বিষয়ে সহমত হন। উভয় নেতা, ইউক্রেন যুদ্ধের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব, বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশগুলির ক্ষেত্রে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও শক্তি ক্ষেত্রে নিরাপত্তার ওপর এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, এই সংঘাতে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার অথবা তা’ ব্যবহারের কথা বলাও কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলার ওপরেও তাঁরা গুরুত্ব আরোপ করেন।
যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও জার্মান চ্যান্সেলার শোলজ, সবধরণের সন্ত্রাসবাদ ও হিংসাত্মক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা করে যেকোনো মূল্যে তা’ প্রতিহত করার আহ্বান জানান। সমস্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী, বিশেষত রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ- UNSC নির্ধারিত গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধেও সম্মিলিত ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষেও জোরালো সওয়াল করেন তাঁরা।
উভয় নেতা, পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষেও সহমত ব্যক্ত করেন। গতবছর ৭’ই অক্টোবর প্যালিস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণ, গাজায় অসংখ্য সাধারণ মানুষের প্রাণহানি সহ বিভিন্ন বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। হামাসের হাতে সমস্ত পণবন্দীদের মুক্তি, অবিলম্বে যুদ্ধবিরোধী এবং গাজায় মানবিক সাহায্য বন্টনের প্রয়োজনীয়তার ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেন তাঁরা। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির বিষয়টিও যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখিত হয়েছে। এপ্রসঙ্গে দুই দেশের সরকারই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত সমঝোতা স্বাক্ষরেরও আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী ও জার্মান চ্যান্সেলার শোলজ, সর্বাত্মক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, ল্গনীকারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত চুক্তি এবং ভারত ও ইউরোপীয় ইউনিয়ানের মধ্যে ভৌগলিক সীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত চুক্তির ওপরেও গুরুত্ব আরোপ করেছেন।