বিদেশমন্ত্রী ডক্টর সুব্রমণীয়ান জয়শঙ্কর বলেছেন,সম্মিলিত স্বার্থেই নিয়ম মেনে বিদেশে বসবাস করা উচিত। যদি কেউ বিদেশে অবৈধভাবে বসবাস করেন, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ, সেই দেশের কর্তব্য হয়ে অভিবাসীদের ফেরত নেওয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে এবং এধরনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক আইন স্বীকৃত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সেনা বিমানে করে ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে ভারতে পাঠানো নিয়ে বিদেশমন্ত্রী আজ রাজ্যসভায় এক বিবৃতি দিয়ে জানান, এই প্রক্রিয়া নতুন নয়।
২০০৯ সালে ৭৩৪ জন, ২০২৪-এ ৩৬৮ জন এবং এবছর ১০৪ জনকে দেশে পাঠানো হলো। এদের সঙ্গে যাতে কোন দুর্ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারত সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। বৈধ ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে আরও সুবিধা এনে দিয়ে সরকার অবৈধ অভিবাসন চক্রকে সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়ার কাজ চালাচ্ছে।
ডক্টর জয়শঙ্করের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের রনদীপ সিং সূর্যেওয়াল জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একইভাবে অবৈধ অভিবাসী ৭ লক্ষ ভারতীয়কে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। কতজন সেদেশের জেলে বন্দি, তার সঠিক তথ্য সরকারের দেওয়া উচিত।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাকেত গোখেল, অভিযোগ করেন, ডক্টর জয়শঙ্করের এই বিবৃতিতে দেশের নাগরিকদের স্বার্থের থেকেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যার্পন নীতির পক্ষে মত ব্যক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিতে আজ বিরোধীরা সভায় হৈ-হট্টগোল করেন। বিদেশমন্ত্রী লোকসভাতেও একই বক্তব্য পেশ করেন। তার বিবৃতির পরেই চিৎকার চেঁচামেচি চলতে থাকায় অধিবেশন দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায়।