বিজেপি আগামীকাল রাজ্যের সব থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাবে। আর জি কর-এর ঘটনার প্রতিবাদে স্বাস্হ্য ভবন অভিযানে আটক বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধাননগর থানা থেকে ছাড়া পেয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে উত্তরে একথা জানান।
তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীরা কোনভাবে প্ররোচনা দেয়নি। তাদের হাতে লাঠি বা কোন অস্ত্র ছিল না। তা সত্ত্বেও পুলিশ তাদের আটক করে।
(বাইট – শুভেন্দু)
বর্বরোচিত আক্রমণ এবং স্বাস্থ্য ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ ও থানা ঘেরাও কর্মসূচী পালিত হবে। পাশাপাশি শ্যামবাজারেও দলের ধর্না চলবে।
পরবর্তী যাবতীয় কর্মসূচী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘোষণা করবেন বলেও শুভেন্দুবাবু উল্লেখ করেন।
আগেই জানানো হয়েছে, বিজেপির স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ঘিরে আজ ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। উল্টোডাঙ্গার হাডকো থেকে মিছিল শুরু হয়ে করুণাময়ীর কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের, ধস্তাধস্তি বাধে।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতাকে পুলিশ আটক করে বিধান নগর থানায় নিয়ে যায়।
শুভেন্দুবাবু বলেন, এই আন্দোলন কোন ব্যক্তি, রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, রাজ্যের প্রতিটি ঘরে এই আন্দোলন হচ্ছে। তবে সব ব্যারিকেড অতিক্রম করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সহ দলের রাজ্য নেতৃত্ব স্বাস্থ্য ভবনের সামনে পৌঁছে যান। রাস্তায় বসে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান । মুখ্যমন্ত্রী ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানান সুকান্তবাবু।
অন্যদিকে বিরোধী দলনেতাকে আটক করার প্রতিবাদে বিধাননগর পূর্ব থানার বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কর্মী – সমর্থকরা।