বাংলাদেশ হাইকোর্ট, ইস্কনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারি এবং তার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার’ করেছে।
বিচারপতি ফারহা মেহেবুব এবং বিচারপতি দেবাশিস রায়চৌধুরীর বেঞ্চ আজ এব্যাপারে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, জনগণের নিরাপত্তা এবং সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের’ও নির্দেশ দেন বেঞ্চ।
এর আগে গতকাল ইস্কনকে নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত একটি আবেদনের গুনানিতে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট।
এদিকে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে কলকাতায় ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চ’-এর মিছিলকে কেন্দ্র ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে। শিয়ালদা থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন পর্যন্ত এই মিছিল হওয়ার যাওয়ার কথা থাকলেও, বেগবাগানের কাছে ব্যারিকেড করে তাদের পথ আটকায় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করলে, মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মাথা ফাটে এক পুলিশ কর্মীর।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ, তাপস রায় প্রমুখ ওই মিছিলে যোগ দেন। দলের
প্রবীণ নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর অত্যাচার ও সন্ন্যাসীর গ্রেপ্তারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশে ‘ভারত বিরোধী মৌলবাদী শক্তি’ সক্রিয়। বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গে শ্রী ঘোষ বলেন, বিশ্ব নেতাদের দেখা উচিত, সেদেশে যাতে শান্তি বজায় থাকে।