বাংলাদেশে নতুন করে হিংসাত্মক ঘটনায় পুলিশ কর্মী সহ কমপক্ষে ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। ক্ষমতাসীন আওয়ামি লীগের কর্মী সমর্থক এবং ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। সিরাজগঞ্জ জেলায় মারমুখী জনতা থানায় হামলা চালালে নিহত হন ১৩ জন পুলিশ আধিকারিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ছাত্র নেতারা। এই দাবিতে আজ ঢাকা পর্যন্ত লং মার্চ কর্মসূচির কথা তাঁরা ঘোষণা করেছেন। জনগণের সুরক্ষায় আজ থেকে তিনদিন ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর বাসভবনে নিরাপত্তা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গতমাসে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়, এখন তা পরিণত হয়েছে সরকার বিরোধী আন্দোলনে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট ব্যবহার করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গতকাল সন্ধ্যে ৬টা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ঢাকায় ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ।
এই অশান্তির জন্য বিরোধীদের এবং অধুনা নিষিদ্ধ জামাত–এ ইসলামিকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ। আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
বাংলাদেশে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বলেছে ভারত। সিলেট শহরে ভারতের সহকারী হাই কমিশন যেকোনোরকম আপতকালীন পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রী সহ ভারতীয় নাগরিকদের কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছে।