বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। ঢাকার বঙ্গভবনে সেনাবাহিনীর তিন শাখার উপস্থিতিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা জানান। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, দেশ জুড়ে চলা অরাজকতা দমনে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সেনাবাহিনী উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে। বেশ কিছু মামলায় গৃহবন্দী বাংলাদেশ ন্যাশানালিস্ট পার্টির চেয়ার পার্সন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খলেদা জিয়াকে মুক্তির দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঐ বৈঠকে। একই সঙ্গে চলতি আন্দোলনের ফলে গ্রেপ্তার হওয়া সমস্ত পড়ুয়াদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।
আগেই জানানো হয়েছে, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারীদের লাগাতার চাপে গতকাল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেন। স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটে নাগাদ সামরিক হেলিকপ্টারে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে গণভবন ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকর-উজ-জামান জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানান, দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে। বিচার হবে সব হত্যার। সংঘাত থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়ে জেনারেল বলেন, আপাতত শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা এখন তাঁদের প্রধান কর্তব্য।
খবু শীঘ্রই পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তারা সাক্ষাত্ করবেন। আজ থেকেই দেশে সমস্ত সরকারি, আধা সরকারি এবং বেসরকারি দপ্তর, কল কারাখানা ও স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে।
এদিকে, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনেও বিক্ষোভকারীরা ঢুকে পড়ে ব্যাপক তান্ডব চালায়। চলে নির্বিচারে লুটপাট। ঢাকা, ধানমন্ডী সহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি দপ্তরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাংচুর চলে সংসদ ভবন, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙতেও দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।