প্রবল সামুদ্রিক ঘুর্নিঝড় দানা ঘন্টায় সর্ব্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার বেগে ওডিশার ভিতরকনিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে। সেটি ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার গতিতে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ধামারার ১৫ কিলোমিটার উত্তর এবং ভিতরকনিকার ৩০ কিলোমিটার উত্তর-উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার। আজ সকাল পর্যন্ত এই ‘ল্যান্ডফল‘ প্রক্রিয়া চলবে। দুপুরের মধ্যে সেটি দূর্বল হয়ে ঘুর্নিঝড়ের আকার নেবে বলে জানা গেছে।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনায় আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। একই সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রামেও। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন।
‘ল্যান্ডফল‘ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ঝড়ের দাপট আরও বেড়ে গিয়েছে ওড়িশায়। রাজ্যের উপকূলেও ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। তবে রাত পর্যন্ত কলকাতায় বিশেষ কোনও প্রভাব দেখা যায়নি।