প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ব্রুনেই-এর সুলতান হাজি হাসানাল বোলকিয়াহ্-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বান্দার সেরি বেগাওয়ানে এই বৈঠক হয়। সামাজিক মাধ্যমের এক পোস্টে শ্রী মোদী লেখেন, ব্রুনেই-এর সুলতানের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত। দু-দেশের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত ও ব্রুনেই বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং দু-দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি করবে।
ভারত সরকারের অ্যাক্ট-ইস্ট নীতি অনুযায়ী ভারত ও ব্রুনেই-এর সম্পর্কে নতুন গতি এসেছে। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শক্তি, মহাকাশ প্রযুক্তি, স্বাস্হ্য ও ওষুধ, দক্ষতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের মতো নানা বিষয়ে দু নেতা বিস্তৃত আলোচনা করেছেন। আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক নানা বিষয়েও তাদের মধ্যে মত বিনিময় হয়। ব্রুনেই-কে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার বলে শ্রী মোদী উল্লেখ করেছেন। ভারত ও ব্রুনেই-এর দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বে ৪০-তম বর্ষ পূর্তিতে তিনি নিজে ব্রুনেই সফর করতে পেরে আনন্দিত বলেও প্রধানমন্ত্রী জানান। টেলি ম্যাট্রি, কৃত্রিম উপগৃহের জন্য ট্র্যাকিং ও টেলি কমান্ড স্টেশন সংক্রান্ত একাধিক সমঝোতা স্মারকপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয়শঙ্কর এবং ব্রুনেই-এর পরিবহণ ও যোগাযোগ দফতরের মন্ত্রী পেঙ্গিরান ডাতো সামহারি পেঙ্গিরান ডাতো মুস্তাফা এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ব্রুনেই-এর সুলতান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্মানে একটি ভোজসভারও আয়োজন করেছেন।
ব্রুনেই ও সিঙ্গাপুর সফরের প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী গতকাল বান্দার সেরি বেগাওয়ান পৌঁছেছেন।
সফরের দ্বিতীয়ার্দ্ধে প্রধানমন্ত্রী আজ সিঙ্গাপুর যাবেন। সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স উয়ং-এর আমন্ত্রণে তাঁর সিঙ্গাপুর সফর। উভয় নেতা ভারত – সিঙ্গাপুর কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক ও বৈষয়িক বিষয়গুলি নিয়েও মত বিনিময় করবেন।
উল্লেখ, প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৬ বছর পর সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারতের বিরাট প্রতিরক্ষা সহযোগিতা রয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের উন্নতি ঘটছে। আশিয়ান দেশগুলির মধ্যে সিঙ্গাপুর হল ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার এবং প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর শীর্ষ রয়েছে।