প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন তাঁর সরকার দরিদ্র মানুষের কল্যাণের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্যর নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছে। সরকারের অঙ্গীকার, নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আর্থিক বিচক্ষণতার কারণেই বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আজ সংসদের উভয়সভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর লোকসভায় ধন্যবাদসূচক প্রস্তাবের আলোচনার জবাব দিচ্ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির অভিভাষণেকে অনুপ্রেরণামূলক আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিকশিত ভারত গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ এর ফলে আরও গতি পাবে। বর্তমান সরকারের গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দরিদ্র নাগরিকদের জন্য চার কোটি ঘর দেওয়া হয়েছে, ১২ কোটি শৌচালয় নির্মাণ করা হয়েছে যা বহুমানুষের বিশেষ করে মহিলাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে। জল জীবন মিশনের আওতায় ১২ কোটিরও বেশি নলবাহিত জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে, এরফলে জলবাহিত রোগের সংক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমান মেয়াদে মূলধনী ব্যয়ের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা ১১লক্ষ ২১ হাজার কোটি টাকায় পৌচেছে। সরকার শাসনব্যবস্থায় স্বচ্ছতা এনেছে ফলে কোটি কোটি টাকার সাশ্রয় হয়েছে। সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করে সরাসরি তাঁদের কাছে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌছানোয় তিন লক্ষ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। মধ্যবিত্তদের উপর করের বোঝা কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, ফলে গত দশ বছরে এই সব পরিবারগুলির আরও বেশি সঞ্চয় হয়েছে। সম্প্রতি সরকার ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার ঘোষণার ফলে মধ্যবিত্তের আর্থিক উন্নতি নিশ্চিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে।
এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে সমাজবাদি পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব বলেন, বিপুল সম্পদ ও ক্ষমতাসম্পন্ন এই দেশ, বর্তমান সরকারের সময়কালে তার উৎপাদনশীলতাকে প্রকৃত অর্থে কাজে লাগাতে পারেনি। দেশে আধুনিক প্রযুক্তি গড়ে তোলা হয়েছে বলে দাবী জানানো হলেও এই সরকার জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মহাকুম্ভে বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে মেলার আয়োজনে উত্তরপ্রদেশ সরকারের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, উৎপাদন ক্ষেত্রে দেশ অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচীর আওতায় গত ১০ বছরে কি সাফল্য মিলেছে তার বাস্তব চিত্র সরকারের উচিৎ তুলে ধরা।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষনে কি বলেছেন তার ওপরই আলোচনা হওয়া উচিৎ। বিরোধীরা অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে কথা বলছেন। মহিলাদের ক্ষমতায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে তিন কোটি লাখপতি দিদি তৈরীর লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।