প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নরেন্দ্র মোদী আজ ও আগামীকাল ওড়িশার ভুবনেশ্বরে পুলিশের মহা নির্দেশক ও ইন্সপেক্টর জেনারেলদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে যোগ দেবেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গতকাল তিনদিনের এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা এবং পদস্থ পুলিশ আধিকারিক ও নিরাপত্তা প্রশাসকদের মধ্যে মতামত বিনিময়ের এক মঞ্চ হিসেবে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ মকাবিলা, বাম উগ্রপন্থা, উপকূলীয় নিরাপত্তা, নতুন ফৌজদারি আইন ও মাদক পাচার সহ বিভিন্ন বিষয় সম্মেলনের আলোচ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কাজের স্বীকৃতীতে ‘রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক’-ও দেওয়া হবে ওই সম্মেলনে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী বরাবরই এই সম্মেলনের ব্যাপারে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খোলা মনে ঘরোয়া পরিবেশে আলোচনার মাধ্যমে নতুন নতুন ভাবধারাকে প্রতিফলিত করার মঞ্চ হিসেবে সম্মেলনকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি PK মিশ্র, সম্মেলনে যোগ দেবেন।
আগেই জানানো হয়েছে, সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী তিনদিনের ওড়িশা সফরে গত সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বর পৌঁছন। বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দরের কাছে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, উড়িষ্যা সরকারকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বিরোধী দলগুলির সমালোচনা করে শ্রী মোদী বলেন, তাঁরা সংবিধানে বিশ্বাস রাখেনা, উন্নয়ন আটকাতেও সচেষ্ট। তবে তিনি এও বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র জয় প্রমাণ করে, কেন্দ্রের নীতই ও প্রকল্পগুলি সাধারণ মানুষ বিশ্বাস ও গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বিমানবন্দর থেকে রাজভবন পর্যন্ত এক রোড শো-এও অংশ নেন। পরে তিনি বিজেপির রাজ্য সদর দপ্তরে দলীয় সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় যোগ দেন। তৃণমূল স্তরে দলের সংগঠন আরো মজবুত করা এবং জনমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় বৈঠকে। অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জুয়েল ওরাঁও, ধর্মেন্দ্র প্রধান, অশ্বিনী বৈষ্ণো, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি প্রমুখ এই আলাপচারিতায় যোগ দেন।