প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, শিল্পপতি রতন টাটার জীবন প্রকৃত অর্থেই এক যোগ্য নেতার শুধুমাত্র সাফল্য নয়, প্রত্যেকের জন্য যত্নশীল হওয়ার মানসিকতাকে অনুপ্রাণিত করে। রতন টাটার স্মরণে একটি জাতীয় সংবাদপত্রে এক নিবন্ধে শ্রী মোদী লিখেছেন, তাঁর অনুপস্হিতি বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে। অনেকের কাছেই রতন টাটা ছিলেন ভারতীয় মূল্যবোধের সর্বোত্তম প্রতিনিধি। তাঁর নেতৃত্বে টাটা গোষ্ঠী সততা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য গোটা বিশ্বের সম্ভ্রম এবং মর্যাদা জয়লাভ করে। তিনি তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের যে কাজ করেছেন, সেই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলের জীবনে তিনি আজও বেঁচে আছেন।
বিশিষ্ট শিল্পপতি ও উদ্যোগপতি এমন কি বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন। তিনি ভারতীয় শিল্পদ্যোগের মহা ঐতিহ্যের এবং সততার সঙ্গে শ্রেষ্ঠ পরিষেবা প্রদানের মূল্যবোধের প্রতীক ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বেই টাটা গোষ্ঠী সাফল্যের শীর্ষে উঠেছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের স্টার্ট আপ ব্যবস্হার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করে গেছেন। দেশের ভবিষ্যত গড়তে রতন টাটা তরুণ উদ্যোগপতিদের আশাআকাঙ্খা এবং সম্ভাবনা অনুধাবন করে স্বপ্ন দেখা এক প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, টাটা গোষ্ঠী আগামী দিনগুলিতেও ভারতের শিল্পে সদ্যর্থক প্রভাব রাখবে। রতন টাটা সর্বদা কর্ম দক্ষতার কথা বলতেন এবং ভারতীয় শিল্পদ্যোগের জন্য বিশ্বমানের দিকে নজর রেখে কাজ করায় উৎসাহিত করতেন। তাঁর দেশপ্রেম দেশের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় দেখে গেছে। ২৬/১১-র সন্ত্রাসবাদী হামলার পর যেভাবে তাঁর উৎসাহে মুম্বাই-এর তাজ হোটেল নতুন করে খোলা হয়েছিল, তা এক দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তাঁর এই কাজের মধ্যে সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত না করার দৃঢ় প্রত্যয় নিহিত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি ভদোদরায় এই টাটা গোষ্ঠীর উদ্যোগেই ভারতের প্রথম যুদ্ধ বিমান C-295-এর কারখানা উদ্বোধন করা হয়েছে। রতন টাটাই এই উদ্যোগের সূচনা করেছিলেন। স্বচ্ছ ভারত অভিযানের জন্য শ্রী টাটা তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন। ক্যান্সারের মতো রোগের বিরুদ্ধে লড়াইকে তিনি তাঁর জীবনের অন্যতম ব্রত হিসেবে নিয়েছিলেন।
শ্রী মোদী বলেন, ভারতকে এক সুন্দর এবং আশাপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তিনি যে কাজ করে গেছেন, তার জন্য আগামী প্রজন্ম তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে।