প্রধানমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনটি পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটিং সিস্টেম এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর জন্য একটি উচ্চ-কার্যকারিতার কম্পিউটিং সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। ন্যাশনাল সুপার কম্পিউটিং মিশনের আওতায় প্রায় ১৩০ কোটি টাকা ব্যায়ে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে তিনটি পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার। এই সুপার কম্পিউটারগুলি পুনে, দিল্লি এবং কলকাতায় বৈজ্ঞানিক গবেষণার সুবিধার্থে কাজে লাগানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরম রুদ্র সুপার কম্পিউটার এবং এইচপিসি ব্যবস্থা কম্পিউটিং-এর ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি বলেন, ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে কম্পিউটিং সক্ষমতা জাতীয় সক্ষমতার বিকল্প হয়ে উঠছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জগতে আজ ভারতের এক মহান সাফল্যের দিন। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়ে একবিংশ শতাব্দীর ভারত কিভাবে এগিয়ে চলেছে তাও প্রতিফলিত হয় এই ঘটনায়। শ্রী মোদী বলেন এমন কোনও ক্ষেত্র নেই যা সরাসরি প্রযুক্তি এবং কম্পিউটিং ক্ষমতার উপর নির্ভরশীল নয়। শ্রী মোদী বলেন, সেমিকন্ডাক্টর উন্নয়নের একটি অপরিহার্য উপাদান হয়ে উঠেছে।এজন্য ইন্ডিয়া সেমিকন্ডাক্টর মিশন চালু হয়েছে এবং যার ইতিবাচক ফলাফল দেশ প্রত্যক্ষ করছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ভারত নিজস্ব সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেম গড়ে তুলছে, যা বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠবে। এই বিপ্লবে ভারতের অংশীদারিত্ব বিট এবং বাইটে হওয়া উচিত নয় বরং টেরাবাইট ও পেটাবাইটে হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বপ্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়া। ভারত প্রযুক্তির সাহায্যে বিশ্ব ও মানবজাতির ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।তাই ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া এবং গগনযানের মতো উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পগুলির সূচনা হয়েছে।