পূর্ব মধ্য বঙ্গোপোসাগরে কেন্দ্রীভূত গভীর নিম্নচাপ, আজ ভোরে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় দানার রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের শেষ খবর অনুযায়ী, এটি পারাদ্বীপ থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব, ধামাড়া থেকে ৫২০ কিলোমিটার এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্হান করছে।
এই ঘূর্ণিঝড় আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল সকালে, অতিপ্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে। রাত সাড়ে ১১-টা থেকে শুক্রবার ভোর পাঁচটার মধ্যে পুরী ও সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড়ের স্থলভাগে প্রবেশ করার সম্ভাবনা। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে বলে আলিপুর আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন।
ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে উপ-কূলবর্তী এলাকাগুলিতে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মৎস্যজীবীদের ২৫ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে পাড়ি দিতে নিষেধ করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের লট নম্বর ৮ ও সাগরের কচুবেরিয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে।
ইস্ট কোস্ট রেল আজ থেকে পরবর্তী তিনদিন ১৯৮টি ট্রেন বাতিল করেছে। পূর্ব রেলও সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্হা নিয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে ওড়িশার কেন্দ্রাপাড়া জেলার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিকেল থেকে কেন্দ্রাপাড়া ও জগৎসিংহুর জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। এই দুই জেলা ছাড়াও উপকূলবর্তী ভদ্রক ও বালেশ্বরে সতর্কতা জারি করেছে সরকার। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উপকূল ও পার্শ্ববর্তী ১৪টি জেলার সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ থেকে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। চিকিৎসক ও সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
ওড়িশা বন্দরে জারি হয়েছে ২ নম্বর সতর্কতা।
এদিকে, রাজ্যের উপকূলীয় অঞ্চলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। বালাসোরে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।