পূর্ণিমা থাকায় গতকালের পর আজও বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সন্ধ্যের পর পূর্ণিমা তিথি পড়ায় অনেক বাড়িতেই গভীর রাত পর্যন্ত পুজো চলে। সন্ধ্যে নামতেই আল্পনায় সেজে ওঠে গৃহস্থ বাড়ির উঠোন। আজ বিকেল ৫ টা ১৭ মিনিট পর্যন্ত পূর্ণিমা তিথি থাকছে। যদিও পঞ্জিকা ভেদে সময়ের সামান্য কিছু রদবদল ঘটছে।
মালদার হবিবপুরের পারুলিয়া গ্রামে পুরনো রীতি মেনে প্রায় ৪১ বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে গ্রামবাসীরা মাটির ঘরে লক্ষী-নারায়ণ পুজো করেন। পুজো শেষেই শুরু হয় ধান কাটার কাজ। এই উপলক্ষ্যে বসেছে ভাওয়াইয়া গানের আসর ও মেলা। সারাবছর লক্ষ্মী প্রতিমা রেখে দিয়ে পরের বছর পুজোর দু-দিন আগে বিসর্জন দেওয়া হয়।
মালদা শহরের কোঠাবাড়ি রায় পরিবারের লক্ষ্মী পুজো এবার ৮৬ বছরে পড়লো। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হলো, একটি চালির মধ্যে মাঝখানে দেবী লক্ষ্মীর পাশাপাশি থাকেন গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক এবং সবার ওপরে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। পুজোয় প্রথম দিন রাতভোর চলে লক্ষ্মীর আরাধনা। নিয়ম মেনে পুজোর আগের দিন স্থানীয় তিনশ’ বিশ মোড়ে মেলা বসে। পাঁচদিনের এই পুজো শেষে মহানন্দার সদর ঘাট ঘুরে কোঠাবাড়ী ঘাটে হয় প্রতিমা বিসর্জন।