পিছিয়ে পড়া শ্রেণীগুলির মধ্যে যারা আরও বেশি প্রান্তিক তাদের সংরক্ষণের সুবিধা দিতে রাজ্যগুলি, তপশিলি জাতি উপজাতিদের মধ্যে উপগোষ্ঠী তৈরি করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আজ ৬-১ সংখ্যাগোরিষ্ঠতায় জানিয়েছেন, পৃথক সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য তপশীলি জাতি ও উপজাতিগুলির উপগোষ্ঠীগত বিভাজন অনুমোদনযোগ্য। এই রায়ের সঙ্গে সহমত হননি বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। তপশীলিভুক্ত শ্রেণীগুলির মধ্যে সংরক্ষণের উদ্দেশে উপগোষ্ঠী তৈরীর কোনো ক্ষমতা রাজ্য সরকারগুলির নেই বলে শীর্ষ আদালতের ২০০৪-এর রায়, বেঞ্চ আজ খারিজ করে দেন।
প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, সংরক্ষণ, গুণমানের বিরুদ্ধে নয়। পদ্ধতিগত যে বৈষম্যের মুখোমুখি হন তপশীলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মানুষ, তাতে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে বেশীরভাগ সময়েই তাঁরা ওপরে উঠতে পারেন না। অনগ্রসর শ্রেণীর মধ্যে উপগোষ্ঠীগত বিভাজন, সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় পরিপন্থী নয় বলেও শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রাজ্যগুলি এক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো অথবা রাজনৈতিক তাগিদে কোনো কাজ করতে পারবে না। তাদের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করতে পারবে বিচার বিভাগ।
অন্যদিকে, এই রায়ের সঙ্গে ভিন্নমত ব্যক্ত করে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী বলেন, SC/ST-দের মধ্যে রাজ্যগুলির উপগোষ্ঠী তৈরী করা, সংবিধানের ৩৪১ ধারার পরিপন্থী। এই ধারায় রাষ্ট্রপতিকেই তপশীলি জাতি-উপজাতিদের তালিকা তৈরীর অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এই রায় দেওয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট, তপশিলি জাতিদের মধ্যে ক্রিমি লেয়ার বা সম্পন্ন অংশকে সংরক্ষণের সুবিধার আওতা থেকে বাদ দেওয়ার প্রয়োজনের কথা বলে। বর্তমানে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর ক্ষেত্রেই কেবল সম্পন্ন অংশকে সংরক্ষণের সবিধা থেকে বাদ দেওয়া হয়ে থাকে। বিচারপতি বি আর গাভাই তাঁর রায়ে বলেন, রাজ্যগুলিকে এসসি/এসটির মধ্যে এই সম্পন্ন অংশ চিহ্নিত করার নীতি তৈরি করতেই হবে।