পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক। DVC-র জল ছাড়ার পরিমাণ কিছুটা কমেছে বলে খবর । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পাঞ্চেত থেকে ৫০ হাজার কিউসেক এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ৫৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।
হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বহু গ্রাম জলের তলায়। তবে, গতকাল পরিস্হিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আমতা ২ নম্বর ব্লকের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এখনও জলমগ্ন। স্পিডবোটের মাধ্যমে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। জেলা ও ব্লক স্তরে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
হুগলি জেলার খানাকুলে বহু বাড়ি ঘর জলমগ্ন। বন্যা পরিস্থিতির এখনও তেমন উন্নতি হয়নি। প্লাবিত জেলার বলাগড়ও। পুড়শুড়া ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যার জলে ভেঙেছে ঘরবাড়ি। পানীয় জলের সমস্যা তুঙ্গে।
দুই মেদিনীপুরের বন্যা পরিস্থিতিও জটিল আকার নেওয়ায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এদিকে, ঘাটাল ব্লকের অজবনগর এক ও দুই, দেওয়ানচক এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে যান ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ন সংগ্রাম কমিটির প্রতিনিধিরা। ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করেন তারা।
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে কংসাবতী জলাধার থেকে জলছাড়ায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সেতু জলের তলায়। দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলে বড়জোড়া ও সোনামুখী ব্লকে মানাচর এলাকায় বন্যা পরিস্হিতি তৈরি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের বহরমপুর ব্লক’ও বন্যা কবলিত। সাঁটুই চৌরিগাছা পঞ্চায়েতের হটনগর, কাঁঠালিয়া, সন্তোষনগর সহ একাধিক গ্রাম প্লাবিত। চারটি গ্রামের ১৫টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামতির কাজ চলেছে জোরকদমে।