নদীয়ার কল্যাণী থানার রথতলায় আজ এক বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিষ্ফোরণে চার মহিলার মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় এক মহিলাকে কল্যাণী জওহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষ্ফোরণের তীব্রতায় কারখানাটি পুরোপুরি ধসে যায়। ধ্বংসস্তুপের তলায় কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা, তার সন্ধানে চলছে অভিযান। ফলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আতশবাজি তৈরীর সময় শর্টসার্কিট থেকে কোনোভাবে আগুন লেগে যাওয়ায় এই বিষ্ফোরণ। মৃত্যু হয় দুর্গা সাহা, বাসন্তী চৌধুরী অঞ্জলি বিশ্বাস ও রুমা সোনার নামে চারজনের। দমকল কর্মী এবং পুলিশ গিয়ে ছড়িয়ে থাকা ঝলসানো দেহগুলি উদ্ধার করে।
এলাকা অত্যন্ত ঘিঞ্জি থাকায় আগুন নেভাতে দমকলকে বেগ পেতে হয়। ঘন্টা দুয়েক বাদে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে। নদীয়ার ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার সুব্রত গুহ আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সন্ধ্যায় এস টি এফের বিশেষ দলও ঘটনাস্থলে যায়। তিনি জানান, এই বাজি কারখানার কোন বৈধ লাইসেন্স ছিল না। কারখানার মালিক খোকন বিশ্বাসকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে, এই ঘটনায় রাজ্য সরকার রিপোর্ট তলব করেছে। কীভাবে এতবড় বিস্ফোরণ ঘটল, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক রাজীব কুমার তা’ জেলা প্রশাসনের কাছে জানতে চেয়েছেন। কোথায় বাজি বিক্রি, উৎপাদন ও মজুত করা হচ্ছে, তার পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব বাজি তৈরীর জন্য প্রশিক্ষণের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা’ জানতে চেয়ে সব জেলাশাসদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ঘটনায় জেলাশাসককে আলাদা করে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চবিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।