দেশে আজ যথাযথ মর্যাদায় ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপিত হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু রাজধানীর কর্তব্যপথে কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাষ্ট্রীয় ‘সমর স্মারকে’ মাল্য অর্পণ করে দেশের বীর সেনানিদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এবারের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি প্রবোও সুবিয়ান্তোকে সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্রপতি কর্তব্যপথে পৌঁছন। জাতীয় পতাকা উন্মোচন ও ১০৫ মি মি লাইট ফিল্ড গানসের ২১ টি তোপধ্বনির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এবারের কুচকাওয়াজে ৩০০জন সঙ্গীতশিল্পী বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রে ‘সাঁরে জাহাসে আচ্ছা’ সুর তোলেন। শুরুতেই ১২৯’টি MI-17 হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি করা হয়। কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে T-90 ট্যাঙ্ক ভীষ্ম, NAG মিসাইল সিস্টেম, ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র, পিনাক-রকেট লঞ্চার সিস্টেম, অগ্নিবাণ রকেট লঞ্চার, আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র, অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির আধুনিকতম নিদর্শন, চেতক যান, হাল্কা সেনা বহনোপযোগী যান- বজরং ইত্যাদি।
ইন্দোনেশিয়ার ১৬০ সদস্যর কুচকাওয়াজ দল ও ১৯০ জনের ব্যান্ড এবারের প্যারেডে যোগ দিয়েছেন। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩১ টি ট্যাবলয়েড এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেয়। হরিয়ানার ট্যবলয়েডের এবারের থিম ছিল- ভগবৎ গীতা, উত্তর প্রদেশের ট্যবলয়েডটি মহাকুম্ভের ওপর নির্মিত। পশ্চিমবঙ্গের ট্যবলয়েডে টেরাকোটার মন্দির শিল্প তুলে ধরা হয়েছে।
এবারের কুচকাওয়াজের থিম ছিল “স্বর্নিল ভারত : বিরাসত আউর বিকাশ”। মার্চপাস্ট শেষ হয়, ৪৭ টি যুদ্ধবিমানের ফ্লাই পাস্টের মাধ্যমে। এদের মধ্যে আছে রাফায়েল, সু-থার্টি, জাগুয়ার, 228 ড্রনিয়ের, আপাচে ও MI-17 হেলিকপ্টার।
সামাজিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন এমন ১০ হাজার মানুষকে এবারের অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, হস্ত ও তাঁতশিল্পী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য এবং আশা ও অঙ্গনওয়ারি কর্মী। বিভিন্ন রাজ্যেও আজ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল।