দেশে আজ থেকে বলবৎ হয়েছে তিনটি নতুন ফৌজদারী আইন। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি ও সাক্ষ্য আইনের জায়গা নেবে এই ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম- ২০২৩। এর লক্ষ্য হলো- প্রত্যেকের জন্য বিচার ব্যবস্থাকে আরও সুলভ, দক্ষ ও সহায়ক করে তোলা।
নতুন আইনগুলি বিচার ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করে তুলবে। এতে জিরো FIR, অনলাইনে অভিযোগ দায়ের, ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সমন পাঠানো এবং সমস্ত জঘন্য অপরাধের অকুস্থলের ভিডিওগ্রাফি বাধ্যতামূলক করার সংস্থান রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নতুন আইনগুলিকে যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেছে। পুলিশ এবং তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
যেহেতু নতুন আইনগুলিতে তদন্ত, বিচার প্রক্রিয়া এবং আদালতের বিভিন্ন কাজকর্মের ওপর প্রযুক্তি ব্যাবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো অপরাধ এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থাপনায় ২৩ রকমের পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ব্যুরো, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নতুন ব্যবস্থায় সড়গড় করে তুলতে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দিয়েছে।
বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, নিখিল ভারত কারিগরি শিক্ষা পরিষদ সহ বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি আজ তিনটি নতুন ফৌজদারি আইনের ওপর কর্মশালা সহ নানা ধরণের সচেতনতামূলক কর্মসূচী নিয়েছে। এছাড়াও, সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিটি থানার ওসিকে নতুন আইনগুলি সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে একটি কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে।