দাবি পূরণ না হওয়ায় আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক আজ গণ ইস্তফা দিয়েছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তাকে চিঠি দিয়ে তারা জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সমস্ত দাবি পূরণে সরকার যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পুজোর মধ্যে সিনিয়র চিকিৎসকদের গণ ইস্তফার এই সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
এদিকে, ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিতসকদের আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রায় ৭০ ঘন্টা হতে চলল। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টের সাতজন প্রতিনিধি অনশন করছেন। এর জেরে একাধিক চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে খবর। আজ প্রতীকী অনশন করছেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তার, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরাও । জুনিয়র চিকিতসকদের সমর্থনে আজ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস- এর তরফেও প্রতীকী অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন এই কর্মসূচী চলবে। আজ JPD-র আটজন সিনিয়র চিকিৎসক প্রতীকি অনশনে সামিল হয়েছে। বহু সাধারণ মানুষ আজ প্রতীকি অনশনে বসেছেন।
অন্যদিকে, WBJDF আজ বিকেলে কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিলের ডাক দিলেও কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি মেলেনি বলে খবর। পুজোয় ভিড়ে যানজটের কারণ দেখিয়ে ‘মহামিছিলে’র আবেদন খারিজ করা হচ্ছে বলে পুলিশের তরফে ই-মেল করে জানানো হয়। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশীষ হালদার জানান, বারবারই পুলিস তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছে।
আর জি কর কান্ডে সঠিক তদন্ত চেয়ে ডাক্তার-নার্সদের তিনটি সংগঠন আগামীকাল সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের ডাক দিয়েছে। সিবি আই- এর চার্জশীটে মাত্র একজনের নাম কেন রয়েছে সেই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সংস্থার দপ্তর অভিযানের সিদ্ধান্ত তাদের।