দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বিষ্ফোরণে ৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার NIA তদন্তের দাবী জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর কাছে চিঠি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ অস্ত্র এবং বিষ্ফোরক মজুত রাখা একটি প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দেশের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক। পরে এক্স হ্যান্ডেলে শ্রী মজুমদার বলেন, ঢোলাহাটের বিষ্ফোরণ কোন দুর্ঘটনা নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এর আগেও তিনি এই ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।
এদিকে, এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে বলে ADG দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রশাসনের দিকে আঙুল তুললেও, আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে সুপ্রতীম বাবু জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালানো, পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রয়োজনীয় সচেতনতা গড়ে তুলতে বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। বাজি মজুত রাখার জন্য নিরাপদ জায়গা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ, ঢোলাহাটের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতি করা উচিত নয়। তা’ যদি করতেই হয়, তবে গুজরাট বা শিবকাশীর ঘটনা নিয়েও রাজনীতি করা উচিত।
আজ সকালে কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্যসরকার সবুজ বাজি এবং বাজি ক্লাস্টার তৈরীর কথা বললেও, তা’ কেন হচ্ছে না, তা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জানা গেছে, কিছুক্ষণ আগে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে সাত জনের দেহের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অপর এক মহিলার মৃত্যু হয় কলকাতার SSKM হাসপাতালে। আজ বিকেলে ফরেন্সিক বিভাগের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন।
উল্লেখ্য, এই বিষ্ফোরণের ঘটনায় বাড়ির দুই ভাই চন্দ্রকান্ত ও তুষার বণিকের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকেই তাদের খোঁজ মিলছে না।