দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে মহিষমারিতে নিখোঁজ চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়ার দেহ বাড়ির অদূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধারের পর পরিস্হিতি উত্তপ্ত। বাড়ছে রাজনৈতিক চাপান উতোরও। কুলতলীর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গণেশচন্দ্র মন্ডল আজ এলাকায় গেলে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। দুপুরে পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতালে মৃত ছাত্রীর দেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল। সেই সময় বাইরের উত্তেজিত জনতা ভীড় জমান।সি পি আই এম-এর যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, দলনেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় সহ বান নেতৃত্ব সেখানে গিয়ে ময়না তদন্ত সঠিকভাবে করার দাবিতে সরব হন।
বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও সেখানে পৌঁছে নাবালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবি জানান।
এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মন্ডল হাসপাতালে পৌঁছলে তাকে গো-ব্যাক শ্লোগান দেওয়া হয়। অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে বচসাতেও জড়াতে দেখা যায় সাংসদকে।
উল্লেখ্য, ৯ বছরের ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ।
পুলিশী নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে আজ সকাল থেকে স্হানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ জনতা খন্ডযুদ্ধে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। জয়নগর থানায় উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইট বৃষ্টি। পরিস্হিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেলও।
এই ঘটনায় ধৃত মুস্তাকিন সর্দার জেরায় খুনের কতা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে, বিজেপি আগামীকাল কুলতলি থানা ঘেরাও-এর ডাক দিয়েছে। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আজ সাংবাদিকদের একথা জানিয়ে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই পুলিশ এফ আই আর দায়ের করেনি।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুনাল ঘোষ এই ঘটনাকে রহস্যজনক আখ্যা দিয়ে দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।