দক্ষিণ ২৪ পরগণার বানতলার চর্মনগরীতে নিকাশি নালা পরিষ্কার করতে নেমে তিন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, ট্যানারিতে চামড়া ধোয়ার রাসায়নিক মিশ্রিত জল ট্যাঙ্কের ভিতরে জমে ছিল। কেএমডিএর একটি ঠিকা সংস্থার এক শ্রমিক প্রথমে ম্যানহোলে কাজে নামেন। তিনি উঠে আসছেন না দেখে আরও দুই শ্রমিক সেখানে নামলে তাদের আর কোনো খোঁজ মিলছিল না। ঐ শ্রমিকদের মধ্যে হাসি শেখ এবং ফার্জেম শেখ মুর্শিদাবাদের এবং সুমন সর্দার উত্তর ২৪ পরগণার ন্যাজাটের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। নামানো হয় ডুবুরি। দীর্ঘ চার ঘন্টার চেষ্টায় দুপুর দেড়টা নাগাদ একে একে তিনজনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। রায়াসায়নিক মিশ্রিত জল ও গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় সকলের মৃত্যু বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।
এব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থার দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ট্যাঙ্কটি অপরিষ্কার অবস্থায় ছিল।
বড় নিকাশি নালা মূলত যন্ত্রের সাহায্যে সাফাই করা হলেও এক্ষেত্রে শ্রমিক সুরক্ষায় কেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের পুর মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের সাজা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ক্ষতিপূরণ বাবাদ নিহতদের নিকটাত্মীয়দের ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।