ত্রিপুরা সরকার, সমগ্র রাজ্যকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে। রাজ্যে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত | রাজস্ব সচিব বৃজেশ পান্ডে আজ আগরতলায় মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলনে, বলেন, এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে| প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা হিসাবে ঘোষনা করা হলে সরকারী ক্ষতিপূরন প্রদান এবং বিভিন্ন এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ দ্রুত এবং সহজে করা যায়|শ্রী পান্ডে আরও জানান, রাজ্যে বন্যা ও ধ্বসে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২| আহত দুইজন এবং ১ জন নিখোঁজ|এদিকে আন্ত:মন্ত্রনালয় পর্যায়ের একটি কেন্দ্রীর প্রতিনিধিদল ত্রিপুরায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনায় চারটি জেলা পরিদর্শন শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় জল কমিশনের ডিরেক্টর মহেশ কুমারের নেতৃত্বে এই দলটি আজ গোমতী ও দক্ষিন জেলার বিভিন্ন বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন|
উল্লেখ্য, রাজ্যে বর্তমানে ৩৪৬টি ত্রান শিবিরে ৫২ হাজার ৯০৬ জন রয়েছেন|
ইতিমধ্যেই ৩৭ হাজার ৫৯৬ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হয়েছে। | ত্রাণ শিবির ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে এখনো পর্যন্ত ১ হাজার ৮৬৭টি স্বাস্থ্য শিবিরে ৪৩ হাজার ৮৮৭ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধপত্র দেওয়া হয়| শিশুদের জন্য রেশন সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে|রাজস্ব সচিব শ্রী পান্ডে জানান, রাজ্যে ২৪টি বিদ্যুত মহকুমার মধ্যে ১৮টিতে ১০০ শতাংশ বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে| বাকী বিদ্যুৎ মহকুমাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা চলছে|
তিনি আরো বলেন বন্যার ফলে যেসমস্ত নির্মান শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন রাজ্য সরকারের শ্রম দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নথীভুক্ত ৪২ হাজার ৯৮১ জন নির্মান শ্রমিককে এক কালীন ৪ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে| এর জন্য রাজ্য সরকারের খরচ হবে ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা|