মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে সাম্প্রতিক ঘটনার পর তিলোত্তমা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ জুনিয়ার চিকিত্সক ডাক্তার অস্ফাকুল্লা নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে পুলিশের একটি দল গিয়ে খানা তল্লাশি চালায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিকেল কাউন্সিলও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বাড়িঘর তছনছ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। চিকিত্সক সমংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স এই ঘটনার নিন্দা করেছে। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ডক্টর পূণ্যব্রত গুন ও ডাক্টার হীরালাল কোনার আজ এক বিবৃতিতে এই পুলিশি অত্যাচারের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি মেডিকেল কাউন্সিলের এই ধরনের পদক্ষেপও নজিরবিহীন হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, ঐ জুনিয়ার চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কিছু বক্তব্য থাকলে মেডিকেল কাউন্সিল তাকে চিঠি দিয়ে জানাতে পারত, কিন্তু তা না করে তারা যে ধরনের আচরণ করেছে, তা প্রতিহিংসামূলক। ডাক্তারদের আর একটি সংগঠন ডক্টর্স সার্ভিস ফোরামও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে প্রসূতী মৃত্যুর দায় মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়ার চিকিত্সকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছে।
এসইউসিআই কমিউনিস্ট অস্ফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশ পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। দলের রাজ্য সম্পাদক চন্ডীদাস ভট্টাচার্য্য আজ এক বিবিৃতিতে বলেন, এই ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। চিকিত্সক মহলে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই এই ধরনের পদক্ষেপ।
একইসঙ্গে তিনি ১২ জন চিকিত্সককে যেভাবে সাসাপেন্ড করা হল, তারও নিন্দা করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতির দিক থেকে নজর ঘোরাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে তাঁর দাবি।
আর জি করের নির্যাতিতার বাবা মা-ও আস্ফাকুল্লা নাইয়ার বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, আর জি কর আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে এধরনের ব্যবস্থা। ১২ জন চিকিত্সককে সাসপেন্ড করারও নিন্দা করেন তারা।