মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

March 30, 2025 3:06 PM

printer

গ্রীষ্মের মরশুমে জল সরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

গ্রীষ্মের মরশুমে জল সরক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আকাশবাণীতে মন কি বাত-এর ১২০-তম পর্বে দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ জুড়ে যেভাবে জল সংরক্ষণের কাজ গতি পেয়েছে, তা’ অত্যন্ত সন্তোষজনক। জল শক্তি মন্ত্রক ও অসংখ্য অসরকারি সংস্থা জল সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করছে। গত সাত আট বছরে ১১’শ কোটি ঘন মিটার জল সংরক্ষণ করা হয়েছে, যা অভূতপূর্ব। সারা দেশে কয়েক হাজার কৃত্রিম পুকুর, চেক ড্যাম, সোক পিট এবং কুয়োর জল রিচার্জের মত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সারা বছর ধরেই এখন বৃষ্টির জল ধরে রাখার মতো নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আরো বেশী সংখ্যক মানুষকে ‘জল সঞ্চয়-জন ভাগীদারি’ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়াস চালাতে হবে। পরবর্তী প্রজন্মের হাতে প্রাকৃতিক সম্পদকে তুলে দিতে সংকল্প গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।      

  প্রধানমন্ত্রী, বস্ত্রশিল্পের বর্জ্যের সমস্যার কথা এদিন মন কি বাত-এ তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্বের কাছেই এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা বলে উল্লেখ করেন তিনি। বস্ত্র শিল্পের মোট বর্জ্যের এক শতাংশের’ও কম নতুন জামা কাপড় তৈরীতে কাজে লাগানো হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। এধরণের বর্জ্য উৎপাদনের দিক থেকে ভারত বিশ্বের তৃতীয় দেশ বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন মন্তব্য করেন।

  এপ্রসঙ্গে তিনি কয়েকটি শহরের কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে এধরণের বর্জ্য নিয়ে কাজ চলছে। হরিয়ানার পানিপথ এ’রকমই একটি স্থান। উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নির্মাণের ক্ষেত্রে বেঙ্গালুরুর ভূমিকার কথাও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

   শ্রী মোদী, আসন্ন গ্রীষ্মের ছুটিতে পড়ুয়াদের ইতিবাচক নানা কর্মসূচীতে অংশ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই সময়টা নতুন নতুন জিনিষ শেখা এবং নতুন দক্ষতা অর্জনের সুযোগ বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিভিন্ন সংগঠন, স্কুল এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান তাদের আয়োজিত সামার ক্যাম্পের বিষয়ে ‘হ্যাশট্যাগ মাই হলিডেজ’ এর মাধ্যমে জানাতে পারেন। এর ফলে শিক্ষার্থী এবং তাঁদের বাবা মা সহজেই এসংক্রান্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। পড়ুয়ারা চাইলে এইসময়ে ‘মাই ভারত’ বিশেষ ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে জনঔষধি কেন্দ্র-র মতো নানা সরকারি প্রকল্পের সম্পর্কে জানতে পারবে। আম্বেদকর জয়ন্তীতে পদযাত্রায় অংশ গ্রহণ, শিক্ষার্থীদের দেশের সংবিধান সম্পর্কে আরো জানতে এবং এর মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দিতে পারবে বলে প্রধানমন্ত্রী এদিন উল্লেখ করেন।

  সদ্য সমাপ্ত খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে অংশ গ্রহণকারী ক্রীড়াবিদদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন শ্রী মোদী। যে পরিমাণ নিষ্ঠা এবং প্রতিভার পরিচয় তারা দিয়েছেন, তা’ অত্যন্ত প্রশংশার যোগ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যারা স্পোর্টস-এর জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে, তা’ অত্যন্ত সন্তোষজনক। তিনি বিশেষভাবে হরিয়ানা, তামিলনাড়ু ও উত্তর প্রদেশের খেলোয়ারদের ক্রীড়া নৈপূণ্যের প্রশংসা করেছেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী কুস্তিবিদ জোবি ম্যাথ্যু-র লেখা একটি চিঠি পড়ে শোনান। জোবি, খেলো ইন্ডিয়া প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছেন।

 

 প্রধানমন্ত্রী এদিন ‘ফিট ইন্ডিয়া’ উৎসবের কথা দেশবাসীকে জানিয়েছেন। এই প্রথম এটি দিল্লিতে আয়োজন করা হয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতনতার লক্ষ্যে এগিয়ে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী, নাগরিকদের নিজের নিজের এলাকায় এই ধরণের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী নানা দেশীয় খেলা সম্পর্কেও শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

  শ্রী মোদী বলেন, আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের ফিরতি গণনা চলেছে। তিনি যোগাভ্যাসকে জীবনের অঙ্গ করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। এবারের যোগ দিবসের মূল ভাবনা- ‘এক পৃথিবী এবং এক স্বাস্থ্যের জন্য যোগ’।

 

  সাম্প্রতিক নিজের মরিশাস সফরের কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বারানসীর অথর্ব কাপুর, আরিয়াস লিখা এবং আত্রেয় মান-এর বার্তা তুলে ধরেন। এই সফরে তাঁরা মরিশাসের ‘গীত গাওয়াই’ অনুষ্ঠানে আনন্দ পেয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মরিশাসে ভারত থেকে শ্রমিক হিসেবে যাওয়া প্রবাসীদের কথাও উল্লেখ করেছেন মন কি বাতে।                

   প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগঠন বিশ্ব জুড়ে ভারতের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। এপ্রসঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুরের ইন্ডিয়ান ফাইন আর্টস সোসাইটির কথাও উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় নৃত্য, সঙ্গীত এবং সংস্কৃতি নিয়ে চর্চা করছে এই সংস্থাটি।  

  প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব জুড়ে আয়ুর্বেদের জনপ্রিয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন। চিলি-র মতো দেশে যোগ এবং আয়ুর্বেদ নিয়ে কাজ চলেছে। স্প্যানিশ ভাষায় এসংক্রান্ত পুস্তকের অনুবাদ হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

  শ্রী মোদী বলেন, আগামী কয়েকদিন সমগ্র দেশের মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবেন। আজ থেকেই ভারতীয় নববর্ষ শুরু হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনে বিহার, বাংলা, তামিলনাড়ু ও গুজরাটে নববর্ষ উদ্‌যাপন করবেন নাগরিকরা। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, ঈদ, রঙ্গালী বিহু, পয়লা বৈশাখ, নভরেহ্‌ –এর মতো উৎসব, আমাদের দেশের বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্যের চিত্রকেই স্পষ্ট করেছে।   

 

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সব দেখুন