কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, বাঙলাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন দিল্লিতে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা সহ মোট ৫’টি ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। অন্য ভাষাগুলি হল- মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমিয়া। এই নিয়ে দেশে মোট ‘ধ্রুপদী ভাষা’র সংখ্যা হল- ১১ ।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণ একে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, দেশের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আদর্শের সঠিক প্রতিফলন এই সিদ্ধান্ত।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস বাংলা ভাষার ধ্রুপদী মর্যাদা প্রাপ্তিতে সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানান। রাজ্যপাল লিখেছেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষাকে স্বীকৃতি দিলেন। বাংলা ভাষা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তিনি দুর্গা বাংলা পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন। এর আর্থিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও গতকাল এখবর জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক বার্তায় তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলার ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা আদায় করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। বাংলা ভাষার প্রাচীনত্ব নিয়ে নিজেদের দাবির সপক্ষে তিন খন্ডের গবেষণা পত্রও সংস্কৃতি মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে বাংলা ভাষার উৎকর্ষ ও গবেষণার অনেক নতুন পথ খুলে যেতে চলেছে। কেন্দ্রের কাছ থেকেও এব্যাপারে বিভিন্ন সহায়তা মিলবে। প্রতিবছর বাংলার দুজন বিশিষ্ট গবেষক গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবেন। বাংলাভাষা গবেষণার একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র তৈরি হবে। বাংলা ভাষা নিয়ে গবেষণা ও বাংলার মাধ্যমে শিক্ষাদানের জন্য ইউজিসি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যাপকের পদ তৈরি করবে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি ডক্টর সুকান্ত মজুমদার বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।