কলকাতা হাইকোর্ট, R G KAR মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়ার ধর্ষণ ও হত্যার CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কেস ডায়েরী খতিয়ে দেখার পর আজ এই নির্দেশ দেন বিচারপতি T S শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের হাতে থাকা সব তথ্য প্রমাণ ও নথি এবং পুলিশের সংগ্রহ করা সমস্ত CCTV ফুটেজ, CBI-এর হাতে তুলে দিতে হবে। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন CBI-কে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
RG KAR কান্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, নিহত নির্যাতিতার বাবা-মা-র আশঙ্কা, এভাবে তদন্ত চললে তা’ সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছবে না। একাধিক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আজ মৃতার পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, প্রথমে পরিবারকে কেউ ফোন করে বলেছিলেন তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। তারপর আবার ফোন করে বলা হয় তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
দৃশ্যত’ই খুনের বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া সত্বেও প্রথমে ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা রুজু করা হয়েছিল কেন, তা’ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতালের অধ্যক্ষের ভূমিকায় তীব্র উষ্মা প্রকাশ করে আদালত। জবাবে রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্যে বেঞ্চ সন্তুষ্ট হননি। মামলাকারীদের তরফে অবিলম্বে CBI তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন মেনে নেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
এর আগে বেলা একটার মধ্যে আদালতে কেস ডায়েরী তলব করা হয়। গতকাল অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেবার কয়েক ঘন্টার মধ্যে আরেকটি হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদে পাঠিয়ে সন্দীপ ঘোষকে পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং তার ১৫ দিনের ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হয়নি বলে’ও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি আর কোনো মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে পারবেন না।
পরে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি সাংবাদিকদের বলেন, কেস ডায়েরী তাঁদের সওয়ালকে আরো মজবুত করেছে।