কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জয়নগরের নির্যাতিতা শিশুটির দেহ ময়নাতদন্ত কল্যাণীর JNM মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়েছে। কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এবং বারুইপুর মহকুমা আদালতের ACJM-এর উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত চলছে। পুরো প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফি’ও করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন শিশুটির পরিবারের সদস্যরা। কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় সেখানে গেছেন।
অন্যদিকে, ISF SFI-এর পক্ষ থেকে হাসপাতালের পুলিশ মর্গের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
ময়নাতদন্তের পর নাবালিকার দেহ তার বাড়ি জয়নগরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
এর আগে পুলিশ শনিবার দেহটি কলকাতার মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে গতকাল এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। ধর্ষণের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কেন এই ঘটনায় পকসো আইনের কোনও ধারা যুক্ত করেনি, সেই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। রাজ্য সরকারকে আদালতে ভর্ৎসনা’ও করা হয়। শিশুটির পরিবারের দাবি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্ত করা হোক। সেই মতোই আদালত কল্যাণী এমসে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে জয়নগরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে জলাভূমি থেকে ন’বছরের শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকেও।