কলকাতার ট্যাংরা থানা এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু এবং অন্য তিনজনের পথ দুর্ঘটনায় আহত হওয়া নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে।
আজ সকালে অভিষিক্তা মোড়ের কাছে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে প্রণয় ও প্রসূন দে নামে দুই ভাই এবং এক নাবালককে উদ্ধার করে। এদের চামড়ার ব্যবসা ছিলো। তাঁদের কাছ থেকে জানা যায়, ট্যাংরার বাড়িতে আরো তিনজন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশের বিশাল বাহিনী ওই বাড়িতে গিয়ে রোমি ও সুদেষ্ণা দে দুই গৃহবধূ এবং এক নাবালিকার দেহের সন্ধান মেলে। ফরেন্সিক টিম এবং পুলিশ কুকুর এনে তদন্ত শুরু করেছে। বাড়ির কিছু জায়গায় রক্তের দাগ মিলেছে। প্রত্যেকেই খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খান বলে পুলিশের অনুমান। দুই গৃহবধূর হাতের শিরা কাটা ছিল। নাবালিকার শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই ব্যবসা ভাল চলছিল না। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই এই ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, এই ঘটনা খুন না আত্মহত্যা, এখনি তা’ বলা সম্ভব নয়।