মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন

android apple
signal

September 17, 2024 4:30 PM

printer

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই-এর দাখিল করা রিপোর্টকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই-এর দাখিল করা রিপোর্টকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং দুই বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আজ স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর যেসমস্ত বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, CBI-এর রিপোর্টে সেগুলি সবই উঠে এসেছে বলে প্রধান বিচারপতি জানান। এই রিপোর্ট পড়ে তাঁরা খুবই ‘বিচলিত’ বলে সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চ জানিয়েছেন। এই তদন্ত প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ’অবস্থায় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলে তদন্তের কাজ ব্যাহত হতে পারে।
চার্জশিট জমা দিতে কতদিন সময় লাগবে, সেই প্রশ্ন’ও করেন তিনি। উইকিপিডিয়াকে নির্যাতিতার নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, শীর্ষ আদালতই ওই চিকিৎসকের ছবি ব্যবহার নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ দেবে। নির্যাতিতার বাবা যেসমস্ত বিষয়ের উল্লেখ করেছেন, CBI-এর সেগুলি দেখা উচিত বলেও প্রধান বিচারপতি উল্লেখ করেন।
হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার দিন এবং অকুস্থলে কারা ছিলেন, সেইসমস্ত নাম জুনিয়ার চিকিৎসকরা জমা দিতে পারবেন বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। সেইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থাকেও ওই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ বেঞ্চের।

এর আগে জুনিয়ার ডাক্তারদের পক্ষে ইন্দিরা জয়সিং জানান, ঘটনাস্থলে সেদিন যারা ছিলেন, তাঁদের নাম তাঁরা CBI-কে জমা দিতে চান। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’-এর পক্ষে আইনজীবি করুণা নন্দী তাঁর সওয়ালে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ ঠিক নয়। সিনিয়ার চিকিতসকরা যথাসাধ্য কাজ করছেন।

এপ্রসঙ্গে, কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তা’ও সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, এমন কথা কখনই রাজ্য বলতে পারে না। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের’ই।

হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়েও আজ  রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। 

সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে আজ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সাত দিনের ট্রেনিং দিয়ে কী ভাবে তাদের থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করা হয় সেবিষয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। সরকারি হাসপাতালে পুলিশকর্মী রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 শুনানির শুরুতে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবি কপিল সিব্বাল, ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধের আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই মামলায় সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখার আর্জি খারিজ করে দিলে, শুরু হয় সম্প্রচার।

সবচেয়ে বেশি পঠিত

সব দেখুন