এর আগে জুনিয়ার ডাক্তারদের পক্ষে ইন্দিরা জয়সিং জানান, ঘটনাস্থলে সেদিন যারা ছিলেন, তাঁদের নাম তাঁরা CBI-কে জমা দিতে চান। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের সংগঠন ‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স’-এর পক্ষে আইনজীবি করুণা নন্দী তাঁর সওয়ালে বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে অভিযোগ ঠিক নয়। সিনিয়ার চিকিতসকরা যথাসাধ্য কাজ করছেন।
এপ্রসঙ্গে, কর্ম ক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, তা’ও সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, মহিলারা রাতে কাজ করতে পারবেন না, এমন কথা কখনই রাজ্য বলতে পারে না। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের’ই।
হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, সেই বিষয়েও আজ রিপোর্ট দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম।
সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে আজ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সাত দিনের ট্রেনিং দিয়ে কী ভাবে তাদের থেকে উপযুক্ত নিরাপত্তার আশা করা হয় সেবিষয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। সরকারি হাসপাতালে পুলিশকর্মী রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শুনানির শুরুতে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবি কপিল সিব্বাল, ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ বন্ধের আবেদন করেন। পরে প্রধান বিচারপতি, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট এই মামলায় সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ রাখার আর্জি খারিজ করে দিলে, শুরু হয় সম্প্রচার।