রাজস্থানের জয়শলমীর থেকে পুরুলিয়া কাঁথি হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত মৌসুমী অক্ষরেখা এবং উত্তর-পূর্ব উত্তরপ্রদেশ থেকে উত্তর বিহার ও হিমালয় সন্নিহিত পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উত্তর-পূর্ব আসামের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণাবর্ত পর্যন্ত প্রসারিত অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তরবঙ্গে ১৩-ই জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কোথাও কোথাও অত্যধিক ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তারপর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ সামান্য কমবে।
অন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও বৃষ্টির ঘাটতি এখনও যথেষ্ট।
রাজ্যের শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত পূর্ব বর্ধমানে এই ঘাটতি দুশ্চিন্তায় ফেলেছে কৃষকদের । বর্ষার জলেই সাধারণত আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু বৃষ্টি অভাবে বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা জানাচ্ছেন, সাবমার্শিবেল পাম্প থেকে জল দিয়ে বা অন্য উপায়ে সেচ দিচ্ছেন তাঁরা। জলের অভাবে ধান রোপণের কাজও পিছিয়ে যাচ্ছে। বীজ বড়ো হয়ে গেলে ফলন মার খাবে, লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। তবে কিছু কিছু জায়গায় সাবমার্শিবেলের সাহায্যে জল দিয়ে ধান রোপণের কাজ শুরু হয়েছে। কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, এছর ৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় কিছুটা কম। এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। ৭৭৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।