উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২১। সিকান্দ্রারাও তহসিলের রতিধানপুর মুঘলগরি গ্রামে ভোলেবাবার আশ্রমে ‘সৎসঙ্গ’ চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আরও ১৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের আলিগড় হাসপাতালে চিকিৎসা চলেছে। আলিগড়ের বিভাগীয় কমিশনার চৈত্রাবি একথা জানিয়ে বলেছেন, ওই অনুষ্ঠানের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গতকাল লক্ষ্ণৌতে পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে দুর্ঘটনাজনিত পরিস্হিতি খতিয়ে দেখেন। তিনি আজ ঘটনাস্হলে যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তলবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু এককালীন ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনায় গভীর মর্ম বেদনা প্রকাশ করে তাঁর জাতীয় ত্রাণ তবহিল থেকে মৃতদের পরিবাকে ২ লক্ষ টাকা করে এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। লোকসভাতে গতকাল হাথরাসের ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকমের সহায়তা করা হবে বলে তিনি জানান।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্য সচিব মনোজ কুমার সিং ও ডিজিপি প্রশান্ত কুমার গতকাল ঘটনাস্হলে গিয়ে পরিস্হিতি খতিয়ে দেখেন। মুখ্য সচিব জানিয়েছেন, মৃত ১১৬ জনের মধ্যে ৭২ জনকে সনাক্ত করা গেছে। বাকিদের সনাক্তকরণের কাজ চলেছে। তিনি আরও জানান, এই অনুষ্ঠানে ৮০ হাজার জনকে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যায় মানুষ সেখানে জড়ো হন। অনুষ্ঠান শেষ হতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তার জেরেই এই দুর্ঘটনা। দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্হা নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
আগ্রার এডিজি এবং আলিগড়ের কমিশনারের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
হাথরাস জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোন রকম সহায়তার জন্য হেল্থ লাইন চালু করা হয়েছে। এর নম্বর হলো, ০৫৭২২২২৭০৪১ এবং ০৫৭২২২২৭০৪২ ।