হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ে এবং প্রবীণ হিজবুল্লা আধিকারিক ফাউদ সুকর-এর হত্যার পর, ইরান ও তার মিত্র দেশগুলি ইজরায়েলে আক্রমণ চালাতে পারে বলে উচ্চ-সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেদেশের গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যেই ইরান প্রত্যাঘাত করতে পারে। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে হিজবুল্লা, হুথি এবং সিরিয়া ও ইরাকের মিলিশিয়া গোষ্ঠী। প্রত্যাঘাতের সঠিক সময় জানানো না হলেও কাতারে আজ হানিয়ের শেষকৃত্যের পর অথবা আগামীকাল কিংবা আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা। এর প্রেক্ষিতে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে সবরকমের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল’ও এ’বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ইতোমধ্যেই ওই এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে বলে খবর।
অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। জর্ডনের বিদেশমন্ত্রী আয়মান সাফাদি এবং ইরানের উপ বিদেশমন্ত্রী আলি বাগেরী কানি গতকাল এবিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। জর্ডনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, তাঁদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জর্ডনকে কখনোই যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।