আর জি কর হাসপাতালে তরুণী পিজিটি চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রয়োজন হলে তাঁরা দিল্লীতে যাবেন বলে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। গতকাল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের ডাকে কলেজ স্ক্যোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহা মিছিলে অংশ নেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। ধর্মতলায় সভা মঞ্চ থেকে জুনিয়ার ডাক্তারদের তরফে দেবাশিষ হালদার বলেন, তাদের আন্দোলনের অভিমুখ শুধুমাত্র রাজ্য সরকারই নয়, সিবিআই-এর দিকেও।
আগামীদিনে আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারী দিয়ে দেবাশিষ বলেন, রোগী চিকিৎসক সকলেই একদিকে রয়েছেন। কর্মবিরতির পথ থেকে যদি সরতেই হয়, তবে নৈতিক জ্ঞান শুনে নয়, সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই তাঁরা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল এই কর্মসূচিতে সামিল হন সিনিয়ার চিকিৎসকেরাও। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফে পুন্যব্রত গুণ বলেন, দাবি-দাওয়া পুরণ না হওয়াতে জুনিয়ার চিকিৎসকেরা ফের কর্ম বিরতিতে সামিল হয়েছেন।
সভা শেষে বাবুঘাটে জোড়ো হয়ে এক হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদে জানান জুনিয়ার চিকিৎসকেরা। এরপর সেই প্রদীপ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গতকাল নির্যাতিতার স্মৃতিতে তাঁর প্রতিকৃতি স্হাপন করা হয়।
পুরুলিয়ার শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গতকাল আর জি করের নির্যাতিতার নির্যাতিতার বিচার চেয়ে পথে নামেন শিল্পীরা। গান ও পথ নাটিকার মাধ্যমে প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা।
বারাসাত ও শিলিগুড়িতে গতরাতে মশাল মিছিলের আয়োজন করা হয়।
অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে দন্ডমহোৎসবতলা ঘাটে মহালয়ার দিন নির্যাতিতার নামে তর্পন করে প্রতিবাদ জানান নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা।
শিলিগুড়িতেও একইভাবে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্হার ৩০ জন মহিলা সদস্য দোষীদের শাস্তির দাবিতে তিলোত্তমার নামে তর্পন করেন।
জলপাইগুড়ির কদমতলা মোড়ে গতকাল সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত নাচ-গান-কবিতা ও পথ নাটিকার মাধ্যমে প্রতিবাদী উৎসব পালন করে জলপাইগুড়ি নাগরিক সংসদ।