আর জি কর হাসপাতালে তরুণী পিজিটি চিকিৎসকের কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় আজ সুপ্রিম কোর্টের গৃহীত স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় আগামী মঙ্গলবার ১৭-ই সেপ্টেম্বর নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সকালে প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ বসলে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা মুখ বন্ধ খামে এযাবৎ তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয়। এরপরই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি, হাসপাতাল থেকে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ির দূরত্ব জানতে চান। একই সঙ্গে জেনারেল ডায়রি এবং অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন দায়ের হয়েছিল, অকুস্থল থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বাজেয়াপ্ত করার সময় সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সিসিটিভি ফুটেজের সমগ্র অংশ সিবিআই পেয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে রাজ্যের তরফ থেকে ফুটেজ হস্তান্তরের কথা আদালতকে জানান আইনজীবী কপিল সিব্বাল। এর প্রেক্ষিতে সি বি আই-এর তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহেতা জানিয়েছেন, ২৭ মিনিটের মোট চারটি ক্লিপিং তদন্ত সংস্হাকে দেওয়া হয়েছে। শ্রী মেহেতা জানান, চিকিৎসকের দেহ অর্ধনগ্ন অবস্হায় উদ্ধারের পর গৃহীত নমুনা কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়। তবে, সেই নমুনা কারা সংগ্রহ করেছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এরপরই সিবিআই-কে নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। রিপোর্ট জমা পড়লে সব পক্ষ নিজেদের প্রশ্ন রাখতে পারবে বলে প্রধান বিচারপতি জানান।
জনস্বার্থ মামলার আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ময়না তদন্তের পুরো রিপোর্ট খতিয়ে দেখার আবেদন জানান। গোটা বিষয় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। একাধিক প্রশ্নও তার তরফ থেকে উত্থাপন করা হয়।
এদিকে, আজ একই সঙ্গে আদালতের নির্দেশে হাসপাতালে মোতায়েন সিআইএসএফ-এর সঙ্গে রাজ্যের অসহযোগিতার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। ফের একবার কেন্দ্র জানায়, রাজ্যের পক্ষ থেকে যে স্হানে বাহিনীর থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, তা অনেকটাই দুর। রাজ্যের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে। বাহিনীর সামগ্রী ব্যবস্হাপনা স্বরাষ্ট্র দফতর এবং সি আই এস এফ-এর সিনিয়ার আধিকারিকরা আলোচনা করে স্হির করবেন।