আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত পি জি টি চিকিৎসকের ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে, জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে ফেরার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরীর জন্য রাজ্য সরকারকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলেছে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং দুই বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রের বেঞ্চের গতকাল এই মামলার চতুর্থ শুনানির সময় জুনিয়ার ডাক্তারদের অবিলম্বে কাজে ফেরা নিয়ে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বালের সওয়ালের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি, তাদের আস্হা অর্জনে রাজ্য সরকারের ব্যবস্হা নেওয়ার ওপর জোর দেন। জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠনের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট দাবির উল্লেখ করলে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দাবিগুলি ন্যায় সঙ্গত। এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তিনি ব্যবস্হা নিতে বলেন।
জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়া নিয়ে রাজ্যের পক্ষ থেকে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। তিনি জানান, চিকিৎসক তরুণীর মৃতদেহ যেখানে পাওয়া যায়, সেই অকুস্হলে এমন লোকেদের উপস্হিতি ছিল, যাদের সেখানে থাকার কথা নয়। CBI-কে তারা সেই তালিকা দিতে চান। সন্দেহভাজন সেই সব ব্যক্তির কয়েকজন এখনও আর জি কর-এ ঘুরে বেড়াচ্ছে। ফলে জুনিয়ার ডাক্তাররা কাজে ফিরতে চাইলেও আতঙ্কিতবোধ করছেন। এর জবাবে কপিল সিব্বাল বলেন, জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কাজে যোগ দিলে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্হা নেওয়া হবে না। সিনিয়ার ডাক্তারদের সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স-এর তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী স্পষ্ট জানান, জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সহমর্মী সিনিয়ার ডাক্তাররা ডাবল শিফ্ট কাজ করছেন। চিকিৎসা পরিষেবা কোথাও ব্যাহত হচ্ছে না।
ওই পি জি টি চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার তদন্তে CBI গতকাল নতুন করে স্টেটাস রিপোর্ট পেশ করে। রিপোর্টটি খুঁটিয়ে দেখার পর প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁরা উদ্বিগ্ন। তদন্ত প্রক্রিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্হায় রয়েছে। এই সময় রিপোর্টের বিষয়বস্তু প্রকাশ্যে এলে তদন্তের কাজ ব্যাহত হতে পারে। চার্জশিট জমা দিতে কতদিন সময় লাগবে তাও জানতে চান তিনি। জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে যোগ দেবার কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা স্হির করে দেয়নি সর্বোচ্চ আদালত।