আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে আজ সকাল থেকে ১৫’টি জায়গায় তল্লাশী চালায় সিবিআই। সকাল সাতটার আগেই তদন্তকারী সংস্থার একটি দল বেলেঘাটায় আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে পৌঁছে যায়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাড়ির বাইরে ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর সন্দীপ নিজেই দরজা খুলে দেন। দুপুরে সেখানে যান আরও কয়েকজন তদন্তকারী। প্রায় ১৩ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি পর্ব চলে। এর আগে সিজিও কমপ্লেক্সে গতকাল পর্যন্ত টানা ন‘ দিন প্রায় ১০০ ঘন্টা প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জেরা করা হয়। আদালতের অনুমতি মেলায় সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্ট’ও করা হবে।
আর জি কর–এর ফরেনসিক বিভাগের কর্তা দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়ি, প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের এন্টালি ও ট্যাংরার ফ্ল্যাট এবং হাওড়ার হাটগাছায় মেডিক্যাল সাপ্লায়ার বিপ্লব সিং-এর বাড়িতেও দীর্ঘ সময় চলে তল্লাশি। রাত ৮’টার পর সন্দীপ ঘনিষ্ঠ সুমন হাজরার হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসুদেব পুরের বাড়িতে যায় CBI-এর দল। আর জি কর হাসপপাতালে ব্যবহার করা সরঞ্জাম ‘রিসাইকেল’ করে বিক্রির কারবার আছে তাঁর। তাঁর বাড়ি ও মেডিক্যাল স্টোরে তদন্তকারীরা নথিপত্র খতিয়ে দেখেন। অন্যদিকে, প্রায় ৯’ঘন্টা তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর দেবাশিস সোম ও তাঁর স্ত্রীকে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। বিকেলে হাজির হন তাঁরা।
CBI-এর আরেকটি দল আর জি কর হাসপাতালের প্লাটিনাম জুবিলী বিল্ডিং-এর অফিসে নতুন প্রিন্সপ্যাল মানস বন্দ্যোপাধ্যায় ও নতুন সুপার তথা ভাইস প্রিন্সিপ্যাল সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একাধিক ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সন্ধ্যে নাগাদ বেরিয়ে যায় CBI-এর দল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এক আধিকারিক জানান, অনেক কিছুই পাওয়া গেছে।
সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চন্দন লৌহের টালার বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। তাঁর স্ত্রীর একটি কফি শপ আছে আর জি করে। এর অনুমতি নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।